গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধিত ( শিক্ষা,সাহিত্য,সংস্কৃতি ও সমাজসেবামূলক ) সেচ্ছাসেবী সংস্থা। ২০০৩ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়, প্রতিষ্ঠাকালিক সময় থেকে সংস্থাটি নারী শিক্ষার উন্নয়ন, জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকাশনা,নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বাল্যবিবাহ রোধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা, মানষিক অসুস্থদের সেবাদানসহ মানবকল্যাণে নিবেদিত সেবামূলক একটি সংস্থা ।বিস্তারিত
প্রতিবছর বর্ষাকালে বাংলাদেশের প্রায় ২৬,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা (১৮%) বন্যায় প্লাবিত হয়। এ সময় দেশের বানভাসি মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হন। বন্যাকবলিত দুর্দশাগ্রস্ত-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়য়ে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন। এই সময় খাদ্যসামগ্রী,বস্ত্র, ঔষধ প্রদানের পাশাপাশি পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালিত করা হয়। ত্রাণ কার্যক্রম কুমিল্লা -ফেনি, সিলেটের ছাতক, জকিগঞ্জ, ওসমানীনগর,শহরতলী তের রতনে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন।যেখানে প্রাকৃতিক দূর্যোগ সেখানে নকশী বাংলা বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক আইন ও নীতি অনুযায়ী শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশ এর আর্থ-সামাজিক কারণে অনেক শিশুই প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডি পার হওয়ার আগে ঝরে পড়ে যায় । শিক্ষার অভাবে বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম ও মাদকের মতো ভয়াবহ অপরাধে যুক্ত হচ্ছে শিশু – কিশোররা। অভিভাবকরা মনে করেন মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত না করে বিয়ে দেওয়া তাদের দায়িত্ব। নারী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন সেমিনারের আয়োজন করে, মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন আর্থিক অনুদান, শিক্ষা উপকরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যে গাছের চারা(বৃক্ষরোপণ) প্রদান ও নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সেলাই মেশিন প্রদান করে নিয়মিত নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন। ছবিতে কার্যক্রমের বিস্তারিত
বাংলাদেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ-এর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও ধনী-দরিদ্র এবং গ্রাম-শহরের জনগণের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে। এজন্য নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ফ্রি মেডিকেল কেম ঔষধ প্রদান করে। সর্বস্তরের মানুষকে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিতে অংশীদারিত্ব করার লক্ষ্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদানের পাশাপাশি একটি করে গাছের চারা প্রদান করে নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন। ছবিতে কার্যক্রমের .বিস্তারিত
সারা বিশ্বে বর্তমানে একশো কোটি (এক বিলিয়ন) মানুষ বস্তিতে বাস করেন। ২০৩০ সালে এই সংখ্যা আনুমানিক দুশো কোটি স্পর্শ করতে চলেছে।(জাতিসংঘ) বাংলাদেশ বস্তিবাসীর সংখ্যা ১৮ লাখ ৪৮৬ জন,ছিন্নমূল, ভূমিহীন, নদীভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছেন বস্ত্র থেকে। প্রতিবছর কনকনে শীতে ফুটপাত, রেলস্টেশন ও বস্তিতে বসবাস করা মানুষ নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সুবিধাও বঞ্চিত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন শীতবস্ত্র বিতরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বস্ত্র বিতরণ করে থাকে। ছবিতে কার্যক্রমের. বিস্তারিত
নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন এর মুখপত্র” নকশী বাংলা” সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করে যাচ্ছে ২০০৩ সাল থেকে। নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য চর্চায় উৎসাহিত করা এবং সমাজের জ্ঞানী গুণী মানুষকে মূল্যায়িত করা।লেখনীর মাধ্যমে সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা,বঞ্চিত মানুষের অধিকারের কথা বলা,ইতিহাস -ঐতিহ্যে এবং মনীষীদের জীবনী তুলে ধরা। নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক, আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলার লক্ষ্যে প্রতিবছর নকশী বাংলা ফাউন্ডেশনের মুখপত্র হিসেবে”নকশী বাংলা” প্রকাশিত হয়ে আসছে। ছবিতে প্রকাশনার বিস্তারিত
নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন ২০ বছর ধরে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এজন্য নকশী বাংলার কার্যক্রম প্রশংসনীয় দেশে-বিদেশে।
একুশে উদযাপন পরিষদ ফ্রান্সের আহবায়ক সুব্রত ভট্টাচার্য শুভ এর সভাপতিত্বে বহির্বিশ্ব সমন্বয়ক সাংবাদিক তাইজুল ফয়েজ এর পরিচালনায় প্যারিসের একটি পাঁচ তারকা হোটেলের বলরুমে নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন এর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই “নকশী বাংলা’র” মোড়ক উন্মোচন ও বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।বিস্তারিত