নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন এর নোট

June 26, 2025

মানুষ একা চলতে পারে না,সমাজও একা চলতে পারে না। ১৯৭১ সালের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার জন্য সামাজিক সংগঠনের জন্ম হয়েছে, সংগঠন তৈরি করা সহজ কিন্তু তা টিকিয়ে রাখা কঠিন কালের বিবর্তনে বিলীন হয়ে যায়। সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতায় নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন ইতিমধ্যে ২০টি বর্ষ অতিক্রম করেছে যা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, সংস্থাটি স্থায়ীকরণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ২ হাজার ৫১০টি এনজিও বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত হচ্ছে, এগুলোর মধ্যে প্রথম সারির কিছু স্থানীয় ও বিদেশী মালিকানাধীন এনজিও ছাড়া বাকি ছোট বা মাঝারি আকারের এনজিওগুলোও কি সমানভাবে আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজে এগিয়ে
যাচ্ছে।
তাদের মিছিলের সামিল হতে চায়, নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন।
যে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন :
১.চিকিৎসা সেবা (ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ প্রদান)
২. নারী শিক্ষার উন্নয়নে সেমিনার, শিক্ষাবৃত্তি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সেলাই মেশিন প্রদান।
৩.সাহিত্য পত্রিকা” নকশী বাংলা” প্রকাশ।
৪.জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
৫.গৃহ নির্মাণ প্রকল্প।
৬.বস্ত্র বিতরণ।
৭.নৃগুষ্টি সম্প্রদায় ও ভারসাম্যহীন ভাসমান মানুষ কে বাংলাদেশের মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করা।

নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী কর্মসূচির সংক্ষিপ্ত আলোকপাত
১.চিকিৎসা সেবা (ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ প্রদান) ইতিমধ্যে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছাতক উপজেলা, জকিগঞ্জ উপজেলা, ওসমানীনগর উপজেলা ও সিলেট শহরের তেরোরতনে, কুমিল্লা ও ফেনীতে মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালিত হয়েছে এবং ফ্রি ঔষধ প্রদান করা হয়েছে ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে।

২. নারী শিক্ষার উন্নয়নে সেমিনার, শিক্ষাবৃত্তি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সেলাই মেশিন প্রদান।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৪৯ শতাংশ হচ্ছে নারী। তাই দেশের উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। দারিদ্র্য দূরীকরণে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও আয়বর্ধক কাজে যুক্ত করা হলে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে আসে।বর্তমান পরিস্থিতিতে মাদক, ইভটিজিং, যৌতুক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের মতো গর্হিত এবং অন্যায় কাজ থেকে আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
আমরা সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছি। শিক্ষাব্যবস্থার যাবতীয় অসঙ্গতি তুলে ধরে (ক)নারী শিক্ষার উন্নয়নে আমাদের করণীয় শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমাধানের জন্য আহ্বান জানিয়েছি ২০১১ সালে নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। মেয়েদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রকৃত শিক্ষার মূল্যবোধ তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে ছাত্ররা কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আমারা বিশ্বাস করি। নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন ইতিপূর্বে (খ)মদনমোহন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধান কেন্দ্র করে জকিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে মোট তিনটি সেন্টারে বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে মেধাবীদের মধ্যে সনদপত্র, গাছের চারা ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
(গ) স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

৩.সাহিত্য পত্রিকা” নকশী বাংলা” প্রকাশ। নকশী বাংলা ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র সাহিত্য পত্রিকার “নকশী বাংলা” ইতিমধ্যে ১১ টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে।
এতে উঠে এসেছে অসংখ্য গুণীজনদের জীবনী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, শিক্ষা সাহিত্য বিষয়ক লেখা, সমাজের নানান সংগতি সমস্যা ও সমাধান। এতে উপকৃত হয়েছে দেশ ও জাতি।
এছাড়াও উল্লেখযোগ্য যে সকল শিরোনামে সেমিনার করেছে ফাউন্ডেশন।
ক. আলোকিত সমাজ গঠনে আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার।
খ. এইডস ও যৌতুক মুক্ত সমাজ গঠনে আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার।
গ. সুস্থ জ্ঞান- বিজ্ঞান চর্চায় পাঠাগারের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার।
ঘ. গুণীজনদের জীবন ও কর্ম নিয়ে সেমিনার।
ঙ. গ্রামীন অর্থনীতি ও অবকাঠামো উন্নয়নের সামাজিক সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার।
৪.জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং মেধাবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নগদ অর্থের পাশাপাশি গাছের চারা প্রদান করা হয়েছে।
৫.গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকল্প হাতে না হবে।
৬. শীত অস্ত্র বিতরণ নকশর বাংলা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর শীতের সময় শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে এবং ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
৭.নৃগোষ্টি সম্প্রদায় প্রকল্পের আওতায় যে সকল কাজ নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন অব্যাহত রেখেছে।
যেমন বেদে সম্প্রদায়ের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ,শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
সামাজিকভাবে অবহেলিত ভারসাম্যহীন মানুষের পূর্ণবাসন ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেয়া।
পর্যায়ক্রমে তাদেরকে বাংলাদেশের মূলধারায় সম্পৃক্ত করনের মাধ্যমে দেশের সম্পদে রূপান্তর করা এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

৮. নকশী বাংলা স্বাবলম্বী প্রকল্প ২০২৫(সেলাই প্রশিক্ষণ)
১.প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার নাম :নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন
২.সংস্থার ঠিকানা :২য় তলা, আব্দুল খালেক ম্যানশন, মেন্দিবাগ পয়েন্ট, সিলেট।
৩.প্রকল্পের মেয়াদ : ৩ মাস
৪.চলতি প্রকল্পের স্থান : আম্বরখানা,এয়ারপোর্ট রোড, সিলেট।
৫.প্রকল্পের মূল বিষয়: দেশের দরিদ্র নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য স্বাবলম্বী প্রকল্পের আওতায় দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষে
সিলাই প্রশিক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য সংস্থার সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানহীন নারীদের বেকারত্ব দূরীকরণের অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। নাহিরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে অন্যান্য নারীদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসবে এতে করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং নারীদের বেকারত্ব কমে যাবে।
সমাজের অবহেলিত মানুষ যখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাবে এর সুফল ভোগ করবে দেশ ও জাতি।দক্ষ জনবলে বা সম্পদে পরিণত হয়ে
দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবেন তারা।
৯….

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম তার লেখনীতে তুলে ধরেন বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার সামগ্রিক আলোচনায় এটা প্রতীয়মান, দেশের সমাজ কাঠামোর আমূল পরিবর্তনে সামাজিক সংগঠনের বিকল্প নেই। সুশিক্ষিত নবীন প্রজন্ম এবং আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের স্বার্থে স্বাধীনতার পর থেকে রাষ্ট্রীয় যতগুলো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার অনেকগুলোই গ্রামবাংলার ক্ষেত্রে তেমন সফলতার ছাপ রাখতে পারেনি। ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর তরুণ সমাজ অবক্ষয়ের পথে ধাবিত। এ অবস্থায় সচেতন ছাত্ররা গড়ে তুলেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, যার মূল লক্ষ্য বিপথগামী তরুণদের স্কুলমুখী, বাল্যবিয়ে রোধ, কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা, সামাজিক কুসংস্কার রুখে বৃক্ষরোপণ করা, উচ্চশিক্ষার প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ানো ইত্যাদি। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য এসব স্বপ্রণোদিত সামাজিক কার্যক্রম প্রশংসনীয়। এসব সংগঠনের কর্মীরা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি দেশপ্রেম জাগ্রত করে তোলে। সুশিক্ষিত নতুন প্রজন্ম, দায়িত্বশীল সমাজ আর নিরক্ষরমুক্ত রাষ্ট্র গঠন করাই এসব সংগঠনের মুখ্য উদ্দেশ্যে।
সরকারের উচিত, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ফান্ড গঠন করে সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করা। এতে তারা উৎসাহিত হবে এবং তাদের কাজের গতি বাড়বে। এভাবেই আমরা পেতে পারি একটি সুশিক্ষিত জাতি।নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন এর নোট :
মানুষ একা চলতে পারে না,সমাজও একা চলতে পারে না। ১৯৭১ সালের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার জন্য সামাজিক সংগঠনের জন্ম হয়েছে, সংগঠন তৈরি করা সহজ কিন্তু তা টিকিয়ে রাখা কঠিন কালের বিবর্তনে বিলীন হয়ে যায়। সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতায় নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন ইতিমধ্যে ২০টি বর্ষ অতিক্রম করেছে যা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, সংস্থাটি স্থায়ীকরণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ২ হাজার ৫১০টি এনজিও বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত হচ্ছে, এগুলোর মধ্যে প্রথম সারির কিছু স্থানীয় ও বিদেশী মালিকানাধীন এনজিও ছাড়া বাকি ছোট বা মাঝারি আকারের এনজিওগুলোও কি সমানভাবে আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজে এগিয়ে
যাচ্ছে।
তাদের মিছিলের সামিল হতে চায়, নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন।
যে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন :
১.চিকিৎসা সেবা (ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ প্রদান)
২. নারী শিক্ষার উন্নয়নে সেমিনার, শিক্ষাবৃত্তি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সেলাই মেশিন প্রদান।
৩.সাহিত্য পত্রিকা” নকশী বাংলা” প্রকাশ।
৪.জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
৫.গৃহ নির্মাণ প্রকল্প।
৬.বস্ত্র বিতরণ।
৭.নৃগুষ্টি সম্প্রদায় ও ভারসাম্যহীন ভাসমান মানুষ কে বাংলাদেশের মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করা।

নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী কর্মসূচির সংক্ষিপ্ত আলোকপাত
১.চিকিৎসা সেবা (ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ প্রদান) ইতিমধ্যে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছাতক উপজেলা, জকিগঞ্জ উপজেলা, ওসমানীনগর উপজেলা ও সিলেট শহরের তেরোরতনে, কুমিল্লা ও ফেনীতে মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালিত হয়েছে এবং ফ্রি ঔষধ প্রদান করা হয়েছে ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে।

২. নারী শিক্ষার উন্নয়নে সেমিনার, শিক্ষাবৃত্তি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সেলাই মেশিন প্রদান।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৪৯ শতাংশ হচ্ছে নারী। তাই দেশের উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। দারিদ্র্য দূরীকরণে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও আয়বর্ধক কাজে যুক্ত করা হলে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে আসে।বর্তমান পরিস্থিতিতে মাদক, ইভটিজিং, যৌতুক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের মতো গর্হিত এবং অন্যায় কাজ থেকে আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
আমরা সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছি। শিক্ষাব্যবস্থার যাবতীয় অসঙ্গতি তুলে ধরে (ক)নারী শিক্ষার উন্নয়নে আমাদের করণীয় শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমাধানের জন্য আহ্বান জানিয়েছি ২০১১ সালে নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। মেয়েদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রকৃত শিক্ষার মূল্যবোধ তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে ছাত্ররা কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আমারা বিশ্বাস করি। নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন ইতিপূর্বে (খ)মদনমোহন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধান কেন্দ্র করে জকিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে মোট তিনটি সেন্টারে বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে মেধাবীদের মধ্যে সনদপত্র, গাছের চারা ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
(গ) স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

৩.সাহিত্য পত্রিকা” নকশী বাংলা” প্রকাশ। নকশী বাংলা ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র সাহিত্য পত্রিকার “নকশী বাংলা” ইতিমধ্যে ১১ টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে।
এতে উঠে এসেছে অসংখ্য গুণীজনদের জীবনী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, শিক্ষা সাহিত্য বিষয়ক লেখা, সমাজের নানান সংগতি সমস্যা ও সমাধান। এতে উপকৃত হয়েছে দেশ ও জাতি।
এছাড়াও উল্লেখযোগ্য যে সকল শিরোনামে সেমিনার করেছে ফাউন্ডেশন।
ক. আলোকিত সমাজ গঠনে আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার।
খ. এইডস ও যৌতুক মুক্ত সমাজ গঠনে আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার।
গ. সুস্থ জ্ঞান- বিজ্ঞান চর্চায় পাঠাগারের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার।
ঘ. গুণীজনদের জীবন ও কর্ম নিয়ে সেমিনার।
ঙ. গ্রামীন অর্থনীতি ও অবকাঠামো উন্নয়নের সামাজিক সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার।
৪.জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
জলবায়ু পরিবর্তনে আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং মেধাবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নগদ অর্থের পাশাপাশি গাছের চারা প্রদান করা হয়েছে।
৫.গৃহ নির্মাণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকল্প হাতে না হবে।
৬. শীত অস্ত্র বিতরণ নকশর বাংলা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর শীতের সময় শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে এবং ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
৭.নৃগোষ্টি সম্প্রদায় প্রকল্পের আওতায় যে সকল কাজ নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন অব্যাহত রেখেছে।
যেমন বেদে সম্প্রদায়ের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ,শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
সামাজিকভাবে অবহেলিত ভারসাম্যহীন মানুষের পূর্ণবাসন ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেয়া।
পর্যায়ক্রমে তাদেরকে বাংলাদেশের মূলধারায় সম্পৃক্ত করনের মাধ্যমে দেশের সম্পদে রূপান্তর করা এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

৮. নকশী বাংলা স্বাবলম্বী প্রকল্প ২০২৫(সেলাই প্রশিক্ষণ)
১.প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার নাম :নকশী বাংলা ফাউন্ডেশন
২.সংস্থার ঠিকানা :২য় তলা, আব্দুল খালেক ম্যানশন, মেন্দিবাগ পয়েন্ট, সিলেট।
৩.প্রকল্পের মেয়াদ : ৩ মাস
৪.চলতি প্রকল্পের স্থান : আম্বরখানা,এয়ারপোর্ট রোড, সিলেট।
৫.প্রকল্পের মূল বিষয়: দেশের দরিদ্র নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য স্বাবলম্বী প্রকল্পের আওতায় দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষে
সিলাই প্রশিক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য সংস্থার সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থানহীন নারীদের বেকারত্ব দূরীকরণের অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। নাহিরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে অন্যান্য নারীদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসবে এতে করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং নারীদের বেকারত্ব কমে যাবে।
সমাজের অবহেলিত মানুষ যখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাবে এর সুফল ভোগ করবে দেশ ও জাতি।দক্ষ জনবলে বা সম্পদে পরিণত হয়ে
দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবেন তারা।
৯….

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম তার লেখনীতে তুলে ধরেন বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার সামগ্রিক আলোচনায় এটা প্রতীয়মান, দেশের সমাজ কাঠামোর আমূল পরিবর্তনে সামাজিক সংগঠনের বিকল্প নেই। সুশিক্ষিত নবীন প্রজন্ম এবং আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের স্বার্থে স্বাধীনতার পর থেকে রাষ্ট্রীয় যতগুলো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার অনেকগুলোই গ্রামবাংলার ক্ষেত্রে তেমন সফলতার ছাপ রাখতে পারেনি। ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর তরুণ সমাজ অবক্ষয়ের পথে ধাবিত। এ অবস্থায় সচেতন ছাত্ররা গড়ে তুলেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, যার মূল লক্ষ্য বিপথগামী তরুণদের স্কুলমুখী, বাল্যবিয়ে রোধ, কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা, সামাজিক কুসংস্কার রুখে বৃক্ষরোপণ করা, উচ্চশিক্ষার প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ানো ইত্যাদি। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য এসব স্বপ্রণোদিত সামাজিক কার্যক্রম প্রশংসনীয়। এসব সংগঠনের কর্মীরা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি দেশপ্রেম জাগ্রত করে তোলে। সুশিক্ষিত নতুন প্রজন্ম, দায়িত্বশীল সমাজ আর নিরক্ষরমুক্ত রাষ্ট্র গঠন করাই এসব সংগঠনের মুখ্য উদ্দেশ্যে।
সরকারের উচিত, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ফান্ড গঠন করে সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করা। এতে তারা উৎসাহিত হবে এবং তাদের কাজের গতি বাড়বে। এভাবেই আমরা পেতে পারি একটি সুশিক্ষিত জাতি।